বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চুনারুঘাটে বাকপ্রতিবন্ধী যুবক আরিফ নিখোঁজ, ১ মাস ৮ দিনেও সন্ধান নেই খোয়াই নদীতে বিষ মিশাচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভা! বেলি সেতুর ভাঙা রেলিং যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ চুনারুঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকান ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ চুনারুঘাটে গৃহবধূর বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট, রক্তাক্ত জখম ও নবজাতকের মৃত্যু চুনারুঘাটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ,কুদ্দুস মিয়া মাস্টার আদালতে আত্মসমর্পণ,জামিন নামঞ্জুর ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি-এর চুনারুঘাট জোনে ৫০ লক্ষ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন চুনারুঘাট থানার মো: নুর আলম সরকারি রাস্তা কেটে খাল খনন করে ফসল নষ্ট, চুনারুঘাটে উত্তেজনা ছাত্র আন্দোলনের হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতা খেলু মিয়া গ্রেফতার চুনারুঘাটে কালিশিরি গ্রামে প্রবাসী পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সায়েদ আলী ও রোকেয়া গ্রেপ্তার,পলাতক হান্নান ও ইউনুস
চুনারুঘাটে কৃষকের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা

চুনারুঘাটে কৃষকের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা

চুনারুঘাটে কৃষকের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ২ নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আড়াঝুড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (২) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী, যক্ষ্মা রোগী কৃষক আইয়ুব আলী, অভিযোগ করেছেন যে প্রতিবেশী ইউসুফ মিয়া (৩৫) তার মেয়ে মিলি আক্তারকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। একই সাথে ইউসুফ মিয়ার বিরুদ্ধে আইয়ুব আলীর বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগও উঠেছে। আইয়ুব আলীর অভিযোগ অনুযায়ী, আসামি ইউসুফ মিয়া একজন খারাপ প্রকৃতির লোক এবং প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। এই সুযোগে সে বাদীর মেয়ে মিলি আক্তারের প্রতি কুদৃষ্টি দিত এবং তাকে কুপ্রস্তাব দিত। মিলি আক্তার বিষয়টি তার বাবাকে জানালে আইয়ুব আলী স্থানীয় মুরুব্বিদের কাছে নালিশ করেন। এতে ইউসুফ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলবল নিয়ে আইয়ুব আলীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, মারধর করে এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। গত ৪ মে ২০২৫, রবিবার সকালে, আইয়ুব আলী বাড়িতে না থাকায় মিলি আক্তার উঠানে কাজ করছিলেন। এই সুযোগে অভিযুক্ত ইউসুফ মিয়া তাকে একা পেয়ে জাপটে ধরে, ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক নিজের ঘরে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সে মিলি আক্তারকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং পরনের পাজামা খুলে ফেলে। একপর্যায়ে মিলি আক্তারের ওড়না সরে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে বাদীর স্ত্রীসহ অন্যান্য সাক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিলি আক্তারকে আসামির ঘর থেকে উদ্ধার করেন। আইয়ুব আলী বাড়িতে ফিরে এসে মেয়ের কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন।তিনি সেদিনই চুনারুঘাট থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। আইয়ুব আলী আদালতকে জানিয়েছেন যে, সাক্ষীরা সময়মতো না এলে তার মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেত।মামলার ধারা: এই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ এর (৪) (খ) ও ৭ ধারায় দায়ের করা হয়েছে। বাদী আইয়ুব আলী আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 ITOnline24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com