চুনারুঘাট হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুবর্ণা আক্তার,শাহেনা আক্তার ও তানিয়াসহ তিন নার্সের বিরুদ্ধে রোগী ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার শেখ হারুন নামে এক শিশু রোগীর পিতা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন। হারুন সহ একাধিক ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের জানান, চুনারুঘাট হাসপাতালের নার্সের দুর্ব্যবহার চরমে পৌঁছেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা এক রোগীর পিতা জানান, আমার সাড়ে ৫ বছরের কন্যা সন্তান শেখ নূসাঈফা আক্তার শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাঈদ ইমরান আমার মেয়ের শারিরীক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিদিন ৩ বার হাসপাতালে আমার মেয়েকে নেবুলাইজেশন দেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে নিয়মিত হাসাপাতালে নেবুলাইজেশন দিতে যান আমার সহধর্মিণী। প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার সন্ধায় (২৭ নভেম্বর) আমার সহধর্মিণী মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত সেবিকা (নার্স) সুবর্ণা আক্তার বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় ক্ষেপণ করেন। এসময় আমার সহধর্মিণী আমার মেয়ের সমস্যা দেখিয়ে একটু তাড়াতাড়ি নেবুলাইজেশন দিতে বললে নার্স শাহেনা আক্তার ও তানিয়া আক্তার সহ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অনেক রোগীও রোগীদের স্বজনদের উপস্থিতিতে নার্স সুবর্ণা মারাত্মকভাবে উত্তেজিত হয়ে আমার সহধর্মিণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় আমাকে আমার সহধর্মীনি বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষনিক হাসপাতালে গিয়ে দেখি নার্স সুবর্ণা আমার সহধর্মিণীর সাথে অশুভ আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষনিক আমি বাধা দিলে সে আমার উপরও চড়াও হয়। শুধু নুসাঈফা নয় ব্যথার রোগী নাজিম ও তার ভাই নিজাম সহ একাধিক রোগী ও স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণ করেন নার্সরা। উল্লেখিত সেবিকারা রোগীদের স্বজনরা বারবার সাহায্য চাইলে তারা রাগান্বিত হয়ে দুর্ব্যবহার করেন। তাদের দুর্ব্যবহারে ও মেয়ের শ্বাস কষ্ট দেখে নুসাঈফার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময়ে আশপাশের বেডের অন্যান্য রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা নুসাঈফার মাকে সান্ত্বনা দেন। প্রতিদিন একাধিক রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা ওই সেবিকাদের দুর্ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা: মোজাম্মেল হক বলেন, আমি ঢাকায় একটি কাজে আসছি। তিনি রবিবারে আসবেন। আরএমও ডাক্তার ফাতেমা হক বলেন, যদি কোনো সেবিকা রোগী ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে থাকেন তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply