রবিবার, ২০ Jul ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চুনারুঘাটে কৃষকের মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা চুনারুঘাটে মাদ্রাসার ভূমিতে থানার সাইনবোর্ড ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন মন্নান চৌধুরী চুনারুঘাটে গাজা ব্যবসায়ী ফয়সলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় এক সংবাদ কর্মী বেকায়দায় চুনারুঘাটে ‘বান্নি পার্ক এন্ড রেস্টুরেন্টে প্রবেশ ফি দিয়ে অসামাজিক কার্যক্রমের আখড়া? সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম চুনারুঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাগ্য বদলাতে ১৫০ বকনা বিতরণ,হাসি ফুটলো শতাধিক পরিবারে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে তীব্র খাদ্য সংকট,লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় বাড়ছে উদ্বেগ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১৮ জন বাংলাদেশি পুশইন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু
সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম

সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম

সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম

মোঃ জসিম মিয়া চুনারুঘাট, (হবিগঞ্জ)

চুনারুঘাট উপজেলার বিশগাওঁ তহশিল অফিসের তহশিলদার মইনুল ইসলাম সোহেল তার সততা ও দক্ষতার জন্য স্থানীয়দের কাছে প্রশংসিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সুনামের সাথে অফিসের সেবাপ্রার্থীদের কাজ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি, হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রভাকর, দৈনিক আজকের হবিগঞ্জ ও দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদগুলোতে দাবি করা হয়েছে যে, মইনুল ইসলাম সোহেলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, যাদের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে এই অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, তারা সকলেই এই অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেছেন এবং একে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছেন। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারীদের নজরে আসলে তারা হতবাক হয়ে যান। চুনারুঘাট উপজেলার মহদির কোনা গ্রামের মৃত আঃ শহিদ এর ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া জানান, গত ২৮ মে তারিখে জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি, আবেদনে স্বাক্ষরকৃত তার সহোদর ভাই জুয়েল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছেন। রুবেল মিয়া প্রশ্ন তোলেন, প্রবাসে থাকাবস্থায় জুয়েল মিয়া কীভাবে আবেদনে স্বাক্ষর করতে পারেন? এতে স্পষ্ট হয় যে, কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মইনুল ইসলাম সোহেলের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি এবং তার ভাই জুয়েল মিয়া উল্লেখিত নামজারী আবেদন নং ৩৩৪৭২৩৭ এর আবেদনকারী। এই নামজারীর জন্য তারা তহশিলদার মইনুল ইসলাম সোহেলকে কোনো প্রকার টাকা-পয়সা দেননি এবং তিনিও কোনো টাকা দাবি করেননি। অপর অভিযোগকারী, উপজেলার আমুরোড বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। একইভাবে, অভিযোগকারী চুনারুঘাট উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ তালুকদার এই মিথ্যা অভিযোগের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি ও বিচার দাবি করেছেন। উপজেলার বনগাঁও গ্রামের হাজী মোঃ আজগর আলী মাস্টারও বলেন, উল্লেখিত ভুয়া আবেদনে তিনি স্বাক্ষর করেননি এবং ভুয়া আবেদনকারীর শাস্তি চান। ২নং আহমদাবাদ ইউনিয়ন বি.এন.পির শামীম আজাদও একই কথা বলেছেন; তার নাম অভিযোগকারী হিসেবে উল্লেখ করা হলেও তিনি অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং এটিকে শতভাগ ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, তহশিলদার মইনুল ইসলাম সোহেলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত চালানো হয়েছে। এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এবং ভুয়া অভিযোগের মাধ্যমে তার সততা ও কর্মদক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। যারা এই ধরনের মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এবং সংবাদ মাধ্যম গুলোরও সংবাদ প্রকাশের পূর্বে সত্যতা যাচাইয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তহশিলদার মইনুল ইসলাম সোহেলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তার সততা ও কর্মনিষ্ঠা সর্বজনস্বীকৃত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 ITOnline24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com