শায়েস্তাগঞ্জে মালিকানা ভূমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ ও রাস্তা বাউন্ডারি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নে হামুয়া চর এলাকায় ক্রয়কৃত চারা জমির মালিকানা সীমানায় রাতের আধারে জোরপূর্বক ভাবে দখল করে ঢেউটিনের সাপটা ঘর ও রাস্তায় পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে জমি বিক্রয়দাতা মোঃ জামাল মিয়া (৪২) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৪ সালে ১৯ নভেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর সভা দক্ষিণ লেঞ্জাপাড়া গ্রামের মৃত হাজী জহুর আলী ছেলে মোঃ ফারুক আহাম্মদ (৬৩)। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে কলিমনগর গ্রামের মৃত নিম্বর আলী ছেলে মোঃ জামাল মিয়া সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মোঃ জামাল মিয়া বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও কোনো কর্ণপাত করে না মুরুব্বি , প্রশাসন ও আইনের প্রতি। ফারুক আহাম্মদ অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , গত ২০২৩ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর ভুক্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হামুয়া চর – ১২৫ মৌজায় ৩১৩৯ আরএস রেকর্ড ভুক্ত দাগের চারা জমি মোট ৭ শতাংশ ভূমি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে কলিমনগর গ্রামের মৃত মোঃ নিম্বর আলী ছেলে মোঃ জামাল মিয়ার নিজ চারা জমি সীমানা নির্ধারণ করে তাঁর স্বাক্ষরকৃত সাব কবালা হবিগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে বিক্রি করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পৌরশহরে লেঞ্জাপাড়া গ্রামের মোঃ জহুর আলী ছেলে মোঃ ফারুক আহাম্মদ এর কাছে। সাব কবালা করার সময় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দুই জন স্বাক্ষীগণ এবং একজন সনাক্তকারী উপস্থিতিতে সাব কবালা তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। উক্ত চারা জমি গ্রহীতা ফারুক আহাম্মদ গত ২০২৩ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখে দলিল নং-১১৮৩ /২৩ ইং সদর উপজেলা গোপায়া ইউনিয়নে নাম জারী জন্য মামলা করে এবং নাম জারী হওয়ার পর সমস্ত সরকারি ভূমিকর পরিশোধ করে চারা জমিতে দীর্ঘ দিন ভোগদখল করে আসছে। ফারুক আহাম্মদ ক্রয়কৃত জমিতে অনেক টাকা খরচ করে মাটি ভরাট সহ অনেক ঔষধি গাছ, ফলের গাছ ও কাঠের গাছ রোপণ করে রাখা হয়েছে। এদিকে সুযোগে চারা জমি বিক্রয়দাতা মোঃ জামাল মিয়া সহ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গত ২০২৪ সালে ২৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে বিভিন্ন প্রজাতি গাছ কর্তন করে ঢেউটিন দিয়ে সাপটা ঘর তৈরি ও রাস্তা সীমানা নিয়ে পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে ফেলে। এ বিষয়ে চারা জমি ক্রয়কৃত গ্রহীতা মালিক মোঃ ফারুক আহাম্মদ নিজ বাড়ি পৌরশহরে হওয়ায় সুযোগ পেয়ে ঢেউটিন দিয়ে সাপটা ঘর তৈরি ও পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে ফেলা হয়। এ ঘটনার ফারুক আহাম্মদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ-সব দৃশ্য দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাঁর আত্মীয় স্বজন এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে যায়। পরে বাদী ফারুক আহাম্মদ শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার ও বিশিষ্ট মুরুব্বিদের অবগত করে এবং তাদের কথা মতে শুনে সময় গুনছেন। মুরুব্বিদের জানানো পর তাদের কথা গুলো তোয়াক্কা করে বিভিন্ন অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে জমি বিক্রেতা জামাল মিয়া সহ তার পরিবার। শেষ পর্যায়ে জমি গ্রহীতা ফারুক আহাম্মদ সু-বিচার ব্যর্থ হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সু-বিচারের পাওয়ার জন্য ছবি সহ অভিযোগ দাখিল করলে ও এখনো সু- বিচার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি চারা জমি গ্রহীতা ফারুক আহাম্মদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চরহামুয়া মৌজায় ৩১৩৯ আর এস দাগের উপর ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ১৪৪ ধারা মামলাটি বাদী পক্ষ জমি গ্রহীতা ফারুক আহাম্মদকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা জন্য এবং সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো বিজ্ঞ আদালত থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়। শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু সরজমিনে গিয়ে উক্ত বাদী ক্রয়কৃত জমি আলামত তদন্ত করে উভয় পক্ষের কাগজ পএ যাচাই বাছাই পর আইন গত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply