শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম চুনারুঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাগ্য বদলাতে ১৫০ বকনা বিতরণ,হাসি ফুটলো শতাধিক পরিবারে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে তীব্র খাদ্য সংকট,লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় বাড়ছে উদ্বেগ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১৮ জন বাংলাদেশি পুশইন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু চুনারুঘাটে শাহীন নার্সারিতে সবুজ ফলবৃক্ষের সমাহার-৩’শত প্রজাতির ফুল ও ফলজ বৃক্ষের ভান্ডার চুনারুঘাটে বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, পরিবারে শোকের ছায়া চুনারুঘাটে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ফুটপাত দখলের অভিযোগ মাধবপুর হরিতলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাত আটক মাধবপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা সহ মা ও মেয়ে আটক
খোয়াই নদীর মৃত্যুর ঘণ্টা বাজাচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভা

খোয়াই নদীর মৃত্যুর ঘণ্টা বাজাচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভা

খোয়াই নদীর মৃত্যুর ঘণ্টা বাজাচ্ছে চুনারুঘাট পৌরসভা

আই টিভি ডেস্ক

চুনারুঘাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর পরও পৌরসভায় বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করা হয়নি। বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খোয়াই নদীতে। চুনারুঘাট পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পৌর শহর সংলগ্ন পুরনো খোয়াই নদীতে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা ফেলত। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ময়লা পরিষ্কার করেন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তাঁর অর্থায়নে ও একক প্রচেষ্টায় ময়লা অন্যত্র সরানো হয়। প্রাণ ফিরে পায় পুরনো খোয়াই নদী। তবে এবার ময়লা ফেলা হচ্ছে চলমান খোয়াই নদীতে। পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল চলমান খোয়াই নদীর পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই ব্রিজের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলা শুরু করেন। প্রতিদিন এ পৌরসভার প্রায় চার থেকে পাঁচ টন বর্জ্য তৈরি হয়। তার সব গিয়ে মিশছে খোয়াই নদীতে। এতে খোয়াই নদী ক্রমশে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। দিন দিন নদীর দেশীয় মাছ কই, শিং, মাগুর, শোল, বোয়াল, পুঁটি, টেংরা ইত্যাদির উৎপাদন কমে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খোয়াইপারের মৎস্যজীবীরা। নদীর পানি ব্যবহারকারীরা চর্মরোগ, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর চুনারুঘাট পৌরসভা গঠিত হয়। এই পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট। ০৮.১০ বর্গ কিলোমিটারের এই পৌরসভায় জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। পৌরবাসীর আক্ষেপ, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, অথচ ব্যর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত জায়গা না থাকায় পৌরসভার সাবেক মেয়রদেরই দায়ী করেছেন তাঁরা। খোয়াই নদীর বেলি ব্রিজের পাশে পৌরসভার ময়লার স্তূপ। সেগুলো গিয়ে মিশছে পানিতে। দূষিত হচ্ছে পানি ও বাতাস। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা রিসাইক্লিং করে সার উৎপাদন করতে হবে এবং এর মাধ্যমে বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পৌরসভার ময়লা ফেলার জন্য খোয়াই নদীর বেলি ব্রিজের পাশে ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এটা স্থায়ীভাবে ময়লা ফেলার স্থান নয়। চুনারুঘাট পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট পৌরসভার প্রশাসক ও চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া আই টিভিকে বলেন, আমি এই উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। নদীতে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা দুঃখজনক। আমি দেখে জরুরি ব্যবস্থা নেব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 ITOnline24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com