শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
সততায় প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা মিথ্যা অভিযোগে শিকার চুনারুঘাটের তহশিলদার,মইনুল ইসলাম চুনারুঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাগ্য বদলাতে ১৫০ বকনা বিতরণ,হাসি ফুটলো শতাধিক পরিবারে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে তীব্র খাদ্য সংকট,লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় বাড়ছে উদ্বেগ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১৮ জন বাংলাদেশি পুশইন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু চুনারুঘাটে শাহীন নার্সারিতে সবুজ ফলবৃক্ষের সমাহার-৩’শত প্রজাতির ফুল ও ফলজ বৃক্ষের ভান্ডার চুনারুঘাটে বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, পরিবারে শোকের ছায়া চুনারুঘাটে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থ্যকর খাবার ও ফুটপাত দখলের অভিযোগ মাধবপুর হরিতলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই ডাকাত আটক মাধবপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা সহ মা ও মেয়ে আটক
দেশজুড়ে ভূমিকম্পের ঘন ঘন ঝাঁকুনি: ভয়াবহ বিপদের পূর্বাভাস?

দেশজুড়ে ভূমিকম্পের ঘন ঘন ঝাঁকুনি: ভয়াবহ বিপদের পূর্বাভাস?

দেশজুড়ে ভূমিকম্পের ঘন ঘন ঝাঁকুনি: ভয়াবহ বিপদের পূর্বাভাস?

আই টিভি ডেস্ক

মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে চারবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। এটি কি স্বাভাবিক ঘটনা, নাকি আসন্ন কোনো ভয়াবহ বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে? সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ভূমিকম্প প্রবণ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ বছরে একবার বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটে। সর্বশেষ এমন একটি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯১৮ সালে, যা হিসাব করলে ২০১৮ সালে ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ফলে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশ এখন শতকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলো বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। ৭ বা তার বেশি মাত্রার একটি ভূমিকম্পে বাংলাদেশ ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূতাত্ত্বিক গবেষণা বলছে, বাংলাদেশ এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে তিনটি প্রধান টেকটনিক প্লেট-ভারতীয়, ইউরেশিয়ান ও বার্মা প্লেট-একসঙ্গে সংযুক্ত। এই প্লেটগুলোর সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশ সবসময় প্রবল ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে। ২০০৯ সালে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি ও জাইকার যৌথ জরিপে দেখা গেছে, যদি ঢাকায় ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে-প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে
প্রায় ৭ কোটি টন কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ জমবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ৭৩% রাস্তা সংকীর্ণ, ফলে ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক এলাকায় হয়তো উদ্ধার কার্যক্রম চালানোই সম্ভব হবে না। এছাড়া, ঢাকার ৭% ভবন অনুমোদিত নকশা পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে, যা বড় ভূমিকম্পে সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়তে পারে। একইসঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, যা উদ্ধার কাজকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় সরকার ও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে এবং প্রস্তুতি নিতে হবে। ভূমিকম্প-প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ, উদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 ITOnline24
Design & Developed BY ThemesBazar.Com