চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষে সাফল্য, লাভবান ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান
মোঃ মাসুদ আলম চুনারুঘাট হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক এমরান। খরচ কম লাভ বেশীর মধ্যে অন্যতম হলো রবি ফসলের ক্ষিরা চাষ। এবছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় চুনারুঘাটে ক্ষিরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক পবিত্র মাহে রমজান মাসে চুনারুঘাটে যখন শশার কেজি ৫০/৬০ টাকা তখন ক্ষিরার কেজি ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের ইউপি উদ্যোক্তা আতাউল হক ইমরান অফিসের কাজের পাশা-পাশি ২০ শতাংশ জমিতে ক্ষিরা প্রদর্শনী করেন। সরেজমিনে পর্যবেক্ষনে করতে গিয়ে কথা হয় আতাউল হক ইমরানের সাথে। তিনি বলেন আমি বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করি তবে ক্ষিরা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশী বলে আমি মনে করি। ক্ষিরা বীজ বপনের পর তেমন বেশী পরিচর্চা করতে হয় না। রোগ বালাই ও অন্যান্য ফসল থেকে কম। মাঝে মধ্যে কীট নাশক ব্যবহার করলেই হয়। চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহিদুল ইসলাম জানান এবছর ক্ষিরা চাষ কম হয়েছে। যারা করেছেন প্রত্যেকের ফলন ভাল হয়েছে। বেশী দামের শশা কেনা থেকে সাধারন ক্রেতারা ক্ষিরা দিয়ে চাহিদা পূরন করতে পারছেন। ইমরান বলেন আমার কাছ থেকে পাইকাররা প্রতি কেজি ১৮/২০ টাকায় কিনে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক মিজানুর রহমান বলেন উৎপাদনকারীর চেয়ে পাইকাররা লাভবান বেশী এ বিষয়টা আসলেই দুঃখ জনক। মাথার ঘাম পায় ফেলে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ফসল চাষাবাদ করে যে টাকা পাই তার সমপরিমাণ এর চেয়ে বেশী লাভ করেন দালাল পাইকাররা। এখানে কৃষক ও ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন পাইকারা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাজার পরিচালনা কমিটি উপজেলা ভোক্তা অধিকার পরিচালনাকারীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ক্রেতাগন। এর সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলে কৃষকদের যেমন সবজি চাষে আগ্রহ বাড়বে তেমনি সাধারণ ক্রেতা স্বল্প মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারবে।
Leave a Reply