চুনারুঘাটে ‘মোহাম্মদীয়া লেডিস অ্যান্ড ফ্যাশন’-এ ক্রেতাদের হয়রানি, অতিরিক্ত দাম ও অশ্লীল আচরণের অভিযোগ
চুনারুঘাট, (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
চুনারুঘাট বাল্লারোডে অবস্থিত ‘মোহাম্মদীয়া লেডিস অ্যান্ড ফ্যাশন’ নামক একটি পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অতিরিক্ত দাম আদায় এবং অশ্লীল আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দোকানটির স্বত্বাধিকারী মোঃ ফুল মিয়া ও তার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে খদ্দেরদের, বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ক্রেতাদের অভিযোগ, এই দোকানে ১ হাজার টাকা দামের পোশাক ২ হাজার টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি করা হয়। এছাড়া, নারী ক্রেতাদের সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা ও ইঙ্গিতমূলক আচরণ করা হয়। এমনকি, দিনে দুই-তিনবার পর্যন্ত ঝগড়ায় লিপ্ত হন দোকানের কর্মচারীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, তারা যখন এই বিষয়ে মোঃ ফুল মিয়ার কাছে অভিযোগ জানাতে যান, তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুল মিয়ার বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার পীরের গাঁও হওয়ায় তিনি স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে থাকেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই দোকানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, “এই দোকানে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা চাই, প্রশাসন দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিক।”আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, “আমি এই দোকান থেকে একটি পোশাক কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমার কাছে দ্বিগুণ দাম চেয়েছিল। প্রতিবাদ করায় তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমি আর কখনো এই দোকানে যাব না।”এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, স্থানীয় সচেতন মহল এবং ভুক্তভোগীরা দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা চান, এই ধরনের অন্যায় ও হয়রানির অবসান হোক এবং ক্রেতারা যেন নিরাপদে কেনাকাটা করতে পারেন। এই বিষয়ে মোঃ ফুল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Leave a Reply