শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের অব্যবহৃত কোয়ার্টার দখল করে অসামাজিক কার্যকলাপ

স্টাফ রিপোর্টার

শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে অব্যবহৃত কোয়ার্টার দখল করে অসামাজিক কার্যকলাপ ও হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রি আস্তানা হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন ঐতিহ্য বাহী স্টেশন। এ স্টেশন ঐতিহ্যকে নষ্ট করার জন্য বছরের পর বছর অযত্নে থাকা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দু’পাশে রেলওয়ে অব্যবহৃত কোয়ার্টারে বেশকিছু ঘর বেদখল হয়ে আছে। বাকি গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। যে সব সরকারি বাসা ব্যবহারের উপযোগী রয়েছে , সেগুলোতে কয়েকজন শ্রমিক ও কর্মচারী বসবাস করলেও অন্যান্য বাসা গুলো দখল করে বহিরাগত লোকজনকে বাসা ভাড়া হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো রেল শ্রমিক-কর্মচারী অবসর হলেও দখল করে রেখে বসবাস করছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তা কারোই মাথা ব্যথা নেই। সরকারের কোটি কোটি টাকার এসব সম্পত্তি কোয়ার্টার দখল থাকলেও দখল মুক্ত করতে নেওয়া হচ্ছে না উদ্যোগ। যে কারণে কলোনি অব্যবহৃত কোয়ার্টার অবৈধ দখলদারদের দৌরত্ব ক্রমে দিন দিন বেড়ে চলছে। হাতে গোনা কয়েকজন রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে চাকরি করেন এবং আবার কেউ কেউ অন্যান্য স্টেশন এলাকায় চাকুরী করেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় বহিরাগত পরিবার ও অবসরপ্রাপ্ত রেল শ্রমিক-কর্মচারী পরিবার অব্যবহৃত রেল কোয়ার্টারে বসবাস করে পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে। এসব কোয়ার্টারে চলছে অসামাজিক কার্যকলা, মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আস্তানা। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া নেতৃত্বে ভোট ব্যাংক বাড়ানো উদ্দেশ্যে অব্যবহৃত রেল কোয়ার্টারে বহিরাগত লোকজন আস্তানা দিয়েছে কিন্তু নারীরা ব্যপর্দায় চলাচল করে থাকে। আবার কেউ রেল কর্মচারী-শ্রমিককে আঁতাত করে অব্যবহৃত কোয়ার্টারে বহিরাগত লোকজন বসবাস করছে। রেল কর্মচারী-শ্রমিকরা এসব বাসা দখল করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা গুনছে। আবার কেউ দখল করে নিয়ে মোটা অংকের টাকা দখল বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলা উবাহাটা ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে কর্মচারী মোঃ ফয়েজ মিয়া রেল স্টেশন ফ্লাট ফর্ম পূর্ব পাশে রেল কোয়ার্টার বরাদ্দ নিয়ে বহিরাগত মোঃ ফরিদ মিয়া কাছে ভাড়া দেয় এবং রেলওয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। উক্ত ফরিদ হোটেল নাম দিয়ে দিবারাত্রি উচ্চ শব্দে মাইকের সাউন্ড বক্স বাজিয়ে হোটেল ব্যবসা নামেমাত্র ফরিদ হোটেল চলে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, চোর-ডাকাত, ছিনতাইকারী আস্তানা হয়েছে। বরাদ্দকৃত বাসা সামনে ভেঙ্গে একদিকে হোটেল ও বাকি অংশ ভেতর রান্না করার জায়গায় অসামাজিক কার্যকলা। মাইকের সাউন্ড বক্সের শব্দে ট্রেনের হুইসেল যাএীরা শুনতে পারছে না। এবং মসজিদের আযান দেওয়ার সময় সাউন্ড বক্স চালু রাখায় মুসল্লীরা আযান শুনতে পারছে না। অপর দিকে আরো জানা যায়, রেলওয়ে গুদাম মসজিদ এর পশ্চিম পাশে বেশ কয়েকটি রেলওয়ে অব্যবহৃত কোয়ার্টার রেল কর্মচারী ও শ্রমিকরা দখল করে নিয়ে কেউ ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করছে মায়া বেগম, স্বপন মিয়া, স্বপন মিয়া সহধর্মিণী সহ পরিবার, শাওন মিয়া, বেদে না বেগম সহ আরো কয়েকজনের বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারী আস্তানা হিসেবে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে রেলওয়ে আখাউড়া উর্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিভাগের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী অনেক শূন্য পদে রয়েছে এবং পরিত্যক্ত কোয়ার্টার বরাদ্দ নিতে চায় না এবং শায়েস্তাগঞ্জে ভালো পরিবেশ নেই। অনেক কর্মকর্তা আখাউড়া থেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে সরকারি বাস ভবন গুলোর দুরবস্থার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মূলত রেলওয়ে স্টেট বিভাগের এসব দেখার কথা। কেন এ ব্যবস্থা নিচ্ছে না আমি আবারো অবগত করবো।