চুনারুঘাটে ভূমিসেবা সার্ভারে জটিলতা খাজনা আদায় বন্ধ
জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)
ভূমিসেবা সার্ভারে জটিলতার কারণে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বন্ধ রয়েছে খাজনা আদায়। এ ছাড়া নামজারি ও জমি রেজিস্ট্রির কাজও বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত থেকে হচ্ছে, তেমনি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাসে উপজেলা অফিসে হঠাৎ বেড়ে যায় জমি রেজিস্ট্রি। প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়, যা থেকে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব অর্জন করে। ২৮ দিন ধরে সার্ভার জটিলতার কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে খাজনা আদায়। নামজারিও হচ্ছে না। মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে জমির দলিল রেজিস্ট্রি ও বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন জমির মালিকরা।উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ছায়া বেগম জানান, ২০ দিন ধরে জমির খাজনা দেওয়া যাচ্ছে না। জমিও বিক্রি করতে পারছেন না। উবাহাটা এলাকার সুহেল মিয়া জানান, জমি বিক্রি করে ছোট ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা। তবে ভূমি অফিসে এসে খাজনা দিতে পারছেন না।সদর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক সংস্কারের কাজ চলছে। মাঝে মাঝে ইন্টারনেট সমস্যা করছে। যার কারণে খাজনা দিতে সমস্যা হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে নামজারিও বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। গাজিপুর ইউনিয়নের বিশগাঁও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, ভূমিসেবা সার্ভার নতুন করে আপডেট হয়েছে। নতুন নিয়মে কাজ শুরু করা হচ্ছে। সাইটে প্রবেশ করলেও নেটে বন্ধ থাকে। এ জন্য নামজারির আবেদন নিতে পারছেন না তারা। কাওছার মিয়া নামে এক জমির মালিক জানান, তিনি তিন সপ্তাহ আগে নাম পত্তনের আবেদন করেছিলেন। ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় খাজনা কাটতে পারছেন না সদর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। ফলে জমির নামজারি হচ্ছে না। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ঈশা খান জানান, খাজনা না থাকার কারণে জমি কেনাবেচা সম্ভব হচ্ছে না।সরেজমিন সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো ভিড় নেই সেখানে। অলস সময় কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা। রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, দলিলের কাজ বন্ধ থাকায় তাদের চাপ কম। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আবদুস সোবহান জানান, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য সাময়িকভাবে ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ। যেখানে শুধু ডিসেম্বর মাসে ১ হাজার দলিল করার কথা, সেখানে মাত্র ৪০টার মতো দলিলের কাজ হয়েছে। এতে করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। কারণ অনেকের নামজারি ও খাজনা নেই। নামজারি ও খাজনা ছাড়া দলিল করা সম্ভব না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হলেই স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। সাময়িকভাবে ভূমিসেবা সার্ভারে সমস্যা থাকায় নামজারি করা যাচ্ছে না। ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, সার্ভারের বিষয়টি দেখছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সবাই চেষ্টা করছেন সমস্যা সমাধানের। ভূমিসেবা সার্ভারে জটিলতার কারণে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বন্ধ রয়েছে খাজনা আদায়। এ ছাড়া নামজারি ও জমি রেজিস্ট্রির কাজও বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত থেকে হচ্ছে, তেমনি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, ডিসেম্বর মাসে উপজেলা অফিসে হঠাৎ বেড়ে যায় জমি রেজিস্ট্রি। প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়, যা থেকে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব অর্জন করে। ২২ দিন ধরে সার্ভার জটিলতার কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে খাজনা আদায়। নামজারিও হচ্ছে না। মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে জমির দলিল রেজিস্ট্রি ও বেচাকেনা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন জমির মালিকরা।উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের ছায়া বেগম জানান, ২০ দিন ধরে জমির খাজনা দেওয়া যাচ্ছে না। জমিও বিক্রি করতে পারছেন না। উবাহাটা এলাকার সুহেল মিয়া জানান, জমি বিক্রি করে ছোট ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা। তবে ভূমি অফিসে এসে খাজনা দিতে পারছেন না।সদর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক সংস্কারের কাজ চলছে। মাঝে মাঝে ইন্টারনেট সমস্যা করছে। যার কারণে খাজনা দিতে সমস্যা হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে নামজারিও বন্ধ রয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। গাজিপুর ইউনিয়নের বিশগাঁও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, ভূমিসেবা সার্ভার নতুন করে আপডেট হয়েছে। নতুন নিয়মে কাজ শুরু করা হচ্ছে। সাইটে প্রবেশ করলেও নেটে বন্ধ থাকে। এ জন্য নামজারির আবেদন নিতে পারছেন না তারা। কাওছার মিয়া নামে এক জমির মালিক জানান, তিনি তিন সপ্তাহ আগে নাম পত্তনের আবেদন করেছিলেন। ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকায় খাজনা কাটতে পারছেন না সদর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। ফলে জমির নামজারি হচ্ছে না। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ঈশা খান জানান, খাজনা না থাকার কারণে জমি কেনাবেচা সম্ভব হচ্ছে না।সরেজমিন সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো ভিড় নেই সেখানে। অলস সময় কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা ও দলিল লেখকরা। রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, দলিলের কাজ বন্ধ থাকায় তাদের চাপ কম। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার আবদুস সোবহান জানান, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের জন্য সাময়িকভাবে ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ। যেখানে শুধু ডিসেম্বর মাসে ১ হাজার দলিল করার কথা, সেখানে মাত্র ৪০টার মতো দলিলের কাজ হয়েছে। এতে করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। কারণ অনেকের নামজারি ও খাজনা নেই। নামজারি ও খাজনা ছাড়া দলিল করা সম্ভব না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হলেই স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। সাময়িকভাবে ভূমিসেবা সার্ভারে সমস্যা থাকায় নামজারি করা যাচ্ছে না। ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, সার্ভারের বিষয়টি দেখছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সবাই চেষ্টা করছেন সমস্যা সমাধানের।
Leave a Reply